
অনেকেই আছেন যারা বেশ অল্প বয়সেই মেরুদন্ডে ব্যথার শিকার হন। হাড়ের দুর্বলতা জনিত কারণে অথবা নিজের অসতর্কতামূলক কাজে বেশীরভাগ মানুষ মেরুদণ্ড ব্যথায় ভুগে থাকেন। অল্প সময়ের ব্যথা ভেবে চুপচাপ থাকেন এবং ভুল করেন। কারণ এই ব্যথা ধীরে ধীরে মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে এবং সঠিক পদক্ষেপ না নিলে মেরুরজ্জ ক্ষয় হওয়া এবং মেরুরস শুকিয়ে যাওয়ার মত ভয়াবহ রোগ হতে পারে। তাই আজ জেনে নিন মেরুদণ্ডের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় কিছু কাজের তালিকা।
ভিটামিন ‘ডি’ –
ভিটামিন ‘ডি’র স্বল্পতা হাড় দুর্বল করে ফেলে। গবেষণা বলছে, যারা মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভোগে, তাদের ৮০ শতাংশের শরীরেরই এই পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। তাই ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। গায়ে লাগাতে হবে সকালের মিষ্টি রোদ।
সঠিক বালিশ –
ঘুমের সময় মাথায় বালিশ নিয়ে ঘুমানোর সামান্য ত্রুটির কারণেও মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। বালিশ বেশি উঁচু হলে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। তাই বালিশ এমনভাবে নির্বাচন করতে হবে যাতে শোয়ার সময় মেরুদণ্ড সোজা থাকে। চিত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হাঁটুর নিচে আরেকটি বালিশ রাখা যেতে পারে।
সতর্কতার সঙ্গে ব্যায়াম –
ব্যায়ামের সঠিক নিয়ম অনেকেই মেনে চলে না। কিন্তু এ কারণে মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মেরুদণ্ডে বেশি চাপ পড়ে- এমন ব্যায়াম করা যাবে না।
বসে থাকা নয় –
অনেকেরই দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে চেয়ারে বসে থেকে। কিন্তু একটানা একভাবে বসে থাকা মেরুদণ্ডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়াতে হবে, সম্ভব হলে কিছু সময় হাঁটতে হবে। আর তাও সম্ভব না হলে বসার ঢঙে পরিবর্তন আনতে হবে।
ক্রাঞ্চ ব্যায়াম করুন –
ক্রাঞ্চ প্রায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত মেরুদণ্ডের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। তাই ব্যায়ামের তালিকায় রাখা যেতে পারে ক্রাঞ্চ। এতে একটি সমতল জায়গায় লম্বা হয়ে শুয়ে পড়তে হয়। এরপর মাথার পেছনে দুই হাত দিয়ে হাঁটু ভাঁজ করতে হয়। এই অবস্থায় মাথাসহ দেহের উপরিভাগ ওপরে তুলতে হবে।
Leave a Reply
Be the First to Comment!